spot_img

তুরস্কে আটক আইএস নারী নিয়ে দুই দেশের ঝগড়া

অবশ্যই পরুন

তুরস্কে আটক হওয়া এক নারী আইএস কর্মীকে নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

তুরস্কের কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছেন, তিনজন নারী আইএস কর্মী সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তুরস্কে ঢুকতে চেয়েছিল। সীমান্তরক্ষীরা তাদের ধরেছে। ওই নারী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দুই দেশেরই নাগরিক ছিলেন। কিন্তু তুরস্কে তিনি ধরা পড়ার পর অস্ট্রেলিয়া দ্রুত তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয়। আর তাতেই প্রচণ্ড রেগে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। তার সাফ কথা, অস্ট্রেলিয়া এই ভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং দায় এড়াতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ার দাবি, তারা নিয়ম মাফিক কাজ করেছে মাত্র।

নিয়ম অনুযায়ী, ওই নারী আইএস কর্মী যে দেশের নাগরিক সে দেশের কাছেই পাঠিয়ে দেবে তুরস্ক। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ছয় বছর পর্যন্ত ওই নারী তার দেশে ছিলেন। তারপর চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। তার পরিবারও সেখানে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ওখান থেকেই তিনি সিরিয়া যান। আইএসে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডকে তার দায় চাপিয়ে দেয়া হলে সেটা ঠিক হবে না। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে তার ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

আর্ডার্নের মন্তব্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই নারীর নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে গেছে। আর তার দায়িত্ব হলো অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা। তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুসারে এই ধরনের ঘটনা হলেই সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে যায়।

পশ্চিমা দেশ থেকে আইএসে যোগ দেয়া হাজার হাজার মানুষ এখন সিরিয়া ও ইরাকের জেলে আছে। তাঁদের ফিরিয়ে নেয়া নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলি দ্বিধায়। এখন এই আটক নারীর ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিরোধ সামনে এসেছে।

সূত্র: রয়টার্স, এপি।

সর্বশেষ সংবাদ

মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ