দেশের ফুটবলে মাঠ সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে মাঠ চাইলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন! মঙ্গলবার পাপনের সঙ্গে ফোনালাপে সালাউদ্দিন নারায়ণগঞ্জস্থ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি ফুটবল খেলার জন্য ব্যবহারের অনুমতি চাইলেন।
বিসিবি সভাপতি বলেছেন, বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর তিনি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।
তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আমাদের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফোনে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি বছরে তিন থেকে চার মাস কিভাবে ফুটবলের জন্য ব্যবহার করা যায় বা ওই স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা সম্ভব কিনা, সে ব্যাপারে দুই সভাপতির মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। আসলে ওই মাঠটি পেলে আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের কিছু ম্যাচ সেখানে আয়োজন করতে পারবো। তাতে বর্তমানে ফুটবলের যে মাঠ সংকট আছে, তার কিছুটা হলেও কমবে।’ তিনি যোগ করেন,‘বিসিবির সভাপতি ফোনালাপে আমাদের সভাপতিকে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
ফুটবলের মাঠ সংকট দীর্ঘদিনের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম ছাড়া রাজধানীতে ফুটবলের জন্য আর মাঠ নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। সামনে ফুটবলের আরও কয়েকটি লিগ শুরু হবে। এমন অবস্থায় মাঠ কোথায় পাবে বাফুফে? তাই মাঠ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাফুফে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করতে চায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই স্টেডিয়ামটি ক্রিকেট ব্যবহার করে থাকে। যদিও তিন বছর ধরে এখানে কোনো খেলা হচ্ছে না।
২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দু’টি করে টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে। প্রথম টেস্ট হয়েছিল ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। এখানে শেষ টেস্ট হয়েছে ৬ বছর আগে ২০১৫ সালে। ওই বছর জুনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে।