ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান দুপুর ১২টায় রায় ঘোষণা করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম সারোয়ার খান (জাকির) বলেন, ‘আমরা আসামিদের যুক্তিতর্কের জবাব দিয়েছি। এই মামলায় তিন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অভিজিৎকে তারা কীভাবে হত্যা করেছে, তার সব বর্ণনা জবানবন্দিতে আছে। অন্যান্য সাক্ষী ও আসামিদের জবানবন্দি— সব মিলিয়ে এই আসামিরা যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তা আদালতে তুলে ধরেছি। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছি।’
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের সাজা দেওয়ার মতো তেমন কোনও এভিডেন্স আসেনি। আমরা আসামিদের খালাস দাবি করেছি। বাকিটা আদালত বিবেচনা করবেন, খালাস দেওয়া যাবে কী যাবে না।’
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ২১ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
অভিজিৎ হত্যা মামলার আসামিরা হরৈা— মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহা (৩৪), মো. আরাফাত রহমান (২৪), শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯), সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়া এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আবদুল্লাহ।
২০১৯ সালের ১ আগস্ট ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। ওই বছরের ১১ এপ্রিল একই ট্রাইব্যুনালের একই বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
২০১৫ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।