বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও মাইক্রোসফট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, বৈশ্বিক উষ্ণতায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেয়ে করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করা সহজ। তার নতুন বই ‘হাউ টু অ্যাভোয়েড অ্যা ক্লাইটমেট ডিজিসটার’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রযুক্তি কীভাবে এই সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে তার ওপর গুরুত্ব দেন বিল গেটস।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
বিল গেটস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি মোকাবিলা হবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মানবিক কাজ। তবে এর তুলনায় খুব, খুব সহজ হলো করোনা মোকাবিলা করা।
তিনি মনে করেন, ‘৫১ বিলিয়ন এবং জিরো’ জলবায়ু সম্পর্কে এই দুইটি সংখ্যা আমাদের সবার জানা প্রয়োজন। এখানে ৫১ বিলিয়ন হলো বিশ্ব প্রতিবছর সাধারণত যত টন গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। আর ‘জিরো’ হলো এই লক্ষ্যে আমাদের যেতে হবে।
বায়ু এবং সৌর শক্তি বিদ্যুতের ব্যবহার কার্বন নিঃসেরণ কমিয়ে আনতে পারে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে তিনি আরও বলেছেন, তবে এই উৎস থেকে নিঃসরণ হওয়া গ্যাসের পরিমাণও ৩০ ভাগের কম না। স্টিল, সিমেন্ট, পরিবহন ব্যবস্থা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যে ৭০ ভাগ গ্যাস নির্গত করে তাও কমিয়ে আনতে হবে। কিন্তু বিভিন্নখাতে তা কমানোর মতো কোনও উপায় দৃশ্যমান নেই।
বিল গেটস বলেন, বেসরকারি খাতগুলোকেও আমাদের বলতে হবে, আমরা সবুজ পণ্য চাই। এই মুহূর্তে কার্বন-ডাই–অক্সাইড নিঃসরণ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি যে ক্ষতি করছেন, তা দেখতে পাচ্ছেন না। তবে এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারগুলোকেই আগে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এখন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের সত্যিকারের মূল্য পরিশোধ করছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। বাড়িতে বিদ্যুৎ, গাড়িতে পেট্রোল ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের কোনও ক্ষতিপূরণ কাউকে দিতে হয় না। এই মুহূর্তে কার্বন নিঃসরণ করে যে সংকট তৈরি করা হচ্ছে সেটির যন্ত্রণা আমরা অনুধাবন করতে পারছি না।