কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ভারতে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বুধবার জাস্টিন ট্রুডো ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলে তাদের মধ্যে এই সংক্রান্ত আলাপ হয়। এক টুইট বার্তায় নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ফোনালাপে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা এবং মোদির নেতৃত্বে তা বিশ্বের বাকি দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করার বিষয়ে প্রশংসা করেন ট্রুডো।
ফোনে মোদিকে কানাডার টিকার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন মোদি, যেভাবে অন্যান্য দেশকে করেছে ভারত।
নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমার বন্ধু জাস্টিন ট্রুডোর ফোন পেয়ে খুব খুশি। কানাডায় কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করেছি। জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বজায় রাখতে আমরা সম্মত হয়েছি।’
এর পাশাপাশি দুই প্রধানমন্ত্রী বহু গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে ভারত ও কানাডার যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলাপ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাবের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হন তারা।
এই বছরের শেষে এই দুই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভায় সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক হিসেবে পরিচিত ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেক দেশ।
গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, অনুদান হিসেবে ভারত এখন পর্যন্ত ৫৬ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশকে। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ১ কোটি টিকা দেওয়া হয় কয়েকটি দেশকে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ ও ভারত বায়োটেকে তৈরি হচ্ছে ‘কোভ্যাকসিন’ নামে দুটি টিকা। নিজ দেশের সম্মুখ সারির যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ এই টিকা দেওয়া হচ্ছে দেশটির সাধারণ জনগণকেও।