ভুল অ্যাফিডেভিট দেওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) যোধপুর দায়রা আদালতে সালমানের বহুল আলোচিত কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামালার শুনানি ছিল। এইদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন ‘দাবাং’ অভিনেতা। এই সময় ২০০৩ সালে একটি এফিডেভিটে তিনি ভুল করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে জানান।
বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, সালমানের আইনজীবী হাসমিতাল সার্সাওয়াত আদালতকে জানান, ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট যে এফিডেভিট ভুল করে জমা দেওয়া হয়েছে তার জন্য সালমানকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘সালমান ভুলেই গিয়েছিলেন যে তার লাইসেন্স নবায়ন করতে দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি ভুলে আদালতে বলেছিলেন, তার লাইসেন্স হারিয়ে গেছে।’
১৯৯৮ সালে হিন্দি ভাষার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে— যোধপুরের কাছে কঙ্কনী গ্রামে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছেন তিনি। ভারতের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের এবং সালমানকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরবর্তীতে জামিন পান। তবে দীর্ঘ দুই দশক ধরে মামলাটি চলছে।
সেই সময় এই অভিনেতা জানান, তার বন্দুকের লাইসেন্স হারিয়ে গেছে। এই বিষয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় একটি এফআইআর করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আদালত জানতে পারেন তার লাইসেন্স হারায়নি বরং তিনি সেটি নবায়ন করতে দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের এপ্রিলে হরিণ হত্যা মামলায় সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন যোধপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরে এই বিষয়ে আপিল করেন সালমান। বৃহস্পতিবার এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।