এক বছরের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে ৫ হাজার ৫৯৭ কোটি ২৬ হাজার টাকা। বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২০ শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ কোটি ৫৩ লাখ। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কিন্তু তিন মাস আগেও খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিসেম্বর শেষে ২ লাখ ২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৪২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ হওয়া ঋণের পরিমাণ ৮ লাখ ৬৬ হাজা ৯৭১ কোটি। আর তাদের খেলাপি ঋণ ৪০ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়ে ৫৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংক। তবে খেলাপি হয়েছে ২ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। ৩০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংক। অপরদিকে তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ গিয়ে পৌঁছেছে ৪ হাজার ৬১ কোটি টাকায়।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কিস্তি পরিশোধ না করলেও গ্রহীতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এ সময়ের মধ্যে ঋণ/বিনিয়োগের ওপর কোনোরকম দণ্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের দেয়া সুবিধা না থাকলে আগামী বছর ব্যাপকহারে বাড়তে পারে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ।