প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
জিয়া ছাড়াও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্যরা হলেন; মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে।
সেই ঘটনায় ফয়সল আরেফিন দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাতে এই ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ডিবি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। সংগঠনটির সামরিক প্রধান মেজর জিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।
মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর। সেদিন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এরপর বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। তাতে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেন।