করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ওয়েভের সময় ব্রিটেনে কৃষ্ণাঙ্গদের অবস্থার উন্নতি হলেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহারের তালিকায় থেকে গেছেন বাংলাদেশিরা। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) এবং জেনারেল প্র্যাকটিশনারদের যৌথ গবেষণা সংস্থার পক্ষে গবেষণা করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির নফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব পপুলেশন হেলথের অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম এবং তার সহকর্মীরা। -দ্য গার্ডিয়ান ও বেঙ্গলি টাইমস
বাংলাদেশিরা অভিযোগ করেন, ব্রিটিশ সরকারের অবহেলার কারণেই তাদের এই পরিণতি। গবেষণায় ২০ থেকে ১০০ বছর বয়সী ২৯ মিলিয়ন মানুষের ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় এখনো বাংলাদেশি, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা করোনা প্রতিরোধের সুযোগ-সুবিধা কম পাচ্ছেন। প্রথম ওয়েভের সময় দেখা যায়, ব্রিটেনে বসবাসরত সব সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। দ্বিতীয় ওয়েভের) বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রান্ত জটিলতায় কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার বেশ কমেছে।
কিন্তু বাংলাদেশিদের মৃত্যুহার কমেনি। করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশিদের মৃত্যুহার প্রথম তরঙ্গে যেখানে ০.৭ শতাংশ ছিল, দ্বিতীয় তরঙ্গে সেখানে ০.৯ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের এই অবস্থার জন্য ব্রিটেন সরকার শারীরিক পার্থক্যকে দায়ী করলেও অনেক গবেষক বলছেন, সংখ্যালঘুরা যে পরিবেশে বসবাস করেন, যেসব কাজ করেন তার জন্যই তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার বেশি মৃত্যুও বেশি।