ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করোনার টিকা নিয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে টিকা নেন তারা।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি ওয়ালিদ হোসেন জানান, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠ থেকে ডিএমপি কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকতরা করোনা টিকা নেন।
এর আগে রবিবার সকাল ১০টায় দেশজুড়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকা নিরাপদ। এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন সবাই সুস্থ আছেন। কাজেই কেউ অপপ্রচার করবেন না। সবাই টিকা নিন। আজকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিবর্গ টিকা নেবেন।
দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মাঠে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। ডিএমপি কমিশনারের টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে কার্যত পুলিশ বাহিনীর মধ্যে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য রাজধানীর ৫০টি হাসপাতাল ও রাজধানীর বাইরে ৯৫৫টি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য কাজ করবে দুই হাজার চারশ টিম। তবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম। ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
এদিন সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও টিকা নেবেন।