অনিয়মিত জীবন-যাপন ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন। প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে দ্রুত প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ফ্যাটি লিভার হানা দেয়। ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভালো করে বের হতে পারে না। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকা বদলে ফেলতে হবে।
নারী-পুরুষ সবারই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভারের লক্ষণগুলোকে সাধারণ মনে করে এড়িয়ে যান। যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ লিভার শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করে।
যদি চর্বি জমে যায়; তাহলে লিভারের কার্যক্ষমতাও ক্রমশ কমবে। জেনে নিন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ-
১. প্রস্রাবের রং অতিরিক্ত মাত্রায় গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। এটি ফ্যাটি লিভারের প্রথমিক উপসর্গ হতে পারে।
২. অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা কিংবা অতিরিক্ত ক্লান্তবোধ করা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ হতে পারে।
৩. ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়াও ত্বকে ছোপ ধরা বা গলার কাছের ত্বকের স্বাভাবিক রং পাল্টে যায়।
৪. মাঝে মধ্যেই পেটে ব্যথা হলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার প্রথমিক উপসর্গ হতে পারে।
৫. এসময় শরীরের পেশী ক্ষয় হতে থাকে। এর সঙ্গেই হাতের শিরা জেগে ওঠা বা বেরিয়ে আসা, চেহারায় বয়স্ক ভাব লক্ষ্য করলে লিভার পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৬. পেটের মেদ বা ভুঁড়ি যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে; তাহলে অবশ্যই লিভারের পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৭. বেশিরভাগ লিভারের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ হলো ডিহাইড্রেশন। এসময় পেট খালি লাগে ও ঘন ঘন পিপাসা পায়। এই লক্ষণগুলি খেয়াল করলেই লিভার পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৮. ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ খিদে বেড়ে গেলে ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।
৯. হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে সতর্ক থাকুন।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে-
১. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
২. পানির মধ্যে অল্প পিঙ্ক সল্ট বা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে খুব ভালো হয়।
৩. কাঁচা হলুদের কারকিউমিনও লিভার সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর।
৪. লিভার সুস্থ রাখতে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি-জাতীয় খাবারও খেতে পারেন।