ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে টুইট করায় পরিবেশবাদী কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ মামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছে দিল্লি পুলিশ। তারা বলছেন, থুনবার্গের নামে তারা মামলা করেনি। মামলাটি করা হয়েছে এই আন্দোলন প্রচারকদের (টুলকিট) বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায়।
দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, টুলকিটরা পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এর নির্মাতারা ভারতের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দলের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবিত কৃষি আইনে কৃষকরা স্বাধীনভাবে চাষাবাদ করতে পারবে না, এমন আশঙ্কা থেকেই ডাকা হয় ‘ভারত বনধ’। আর এই আন্দোলন নিয়ে কথা বলে ভারত সরকারের রোষানলে পড়ে গ্রেটা থুনবার্গ।
ভারতে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ টুইট করে জানান, “আমরা ভারতের কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।” যেখানে হ্যাশট্যাগ ‘ফার্মাস প্রোটেস্ট’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পর্শকাতর হ্যাশট্যাগ দেওয়ার লোভ যখন তারকা পর্যায়ের কারো কাছ থেকে ঘটে, তখন এটা একই সঙ্গে দায়িত্বহীন এবং ভুল আচরণ।”
তবে সর্বশেষ একটি টুইট বার্তায় গ্রেটা জানান, তিনি এখনো কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করেন। কোনো হুমকি, ঘৃণা অথবা মানবাধিকার লঙ্ঘন তাকে সরাতে পারবে না।
ভারতের বিজেপি সরকার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আগের কৃষি আইন সংস্কার করে নতুন নীতিমালা নির্ধারণ করেন। তবে নতুন আইনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও, আইন বাতিল না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কয়েক মাস ধরে চলমান এই আন্দোলন ১৯ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে আরো জোরদার হয়।