কুড়িগ্রামে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আব্রাহাম লিংকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান ও ফকরুল ইসলাম।
নিহত পিংকী খাতুন শিল্পী জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার হাতেম আলীর মেয়ে।
ফাঁসির রায়প্রাপ্ত রাসেল বাবু নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকার সাইফুর রহমানের ছেলে। তিনি পিংকীর দ্বিতীয় স্বামী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন জানান, আসামি রাসেল বাবু উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় প্রদান করা হয়েছে।এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে পিংকীর সাথে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাঁশজানি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোলায়মান আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর অভিভাবকদের না জানিয়ে পিংকী রাসেল বাবুর সাথে পালিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি করেন। দেড় বছর ঘর সংসার করার পর যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালান রাসেল বাবু। এ সময় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকী তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।
সেখানে অবস্থান কালে পিংকীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। তাতে পিংকী রাজি না হননি। এতে ২০১১ সালের ২৭ মে দুপুরে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতে পিংকীর মুখে গামছা বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন রাসেল। লাশ ঘরের ভেতর ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান তিনি।