কোভ্যাক্স উদ্যোগের সৌজন্যে ভারতের কাছ থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটিতে অচিরেই শুরু হতে চলেছে টিকাদান কর্মসূচি।
রোববার ইমরান খানের মন্ত্রিসভার বিশেষ সহায়ক (স্বাস্থ্য) ডক্টর ফয়সাল সুলতান ঘোষণা করেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন পেতে চলেছে পাকিস্তান। তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে মার্চ মাসের মধ্যে ৬০ লাখ ডোজ টিকা পাকিস্তানে পৌঁছে দেবে ভারত। বাকি টিকা পৌঁছবে জুন মাসের মধ্যে। কোভ্যাক্স উদ্যোগের জেরেই পাকিস্তানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, পাকিস্তানকে বিনামূল্যে ৫ লাখ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দিচ্ছে চীন। এর জন্য চীনে বিশেষ বিমানও পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
টুইটারে ফয়সাল সুলতান আরও জানিয়েছেন, ‘জেনে আননব্দ হচ্ছে যে সিনোফার্মা (চীনের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা) থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রাপ্য ৫ লাখ ডোজ টিকা প্রাপ্তির পরে প্রথম ত্রৈমাসিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এই টিকা মানুষকে বিমামূল্যে দেয়া হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে পাকিস্তানে টিকাকরণ কর্মসূচিচালু হবে। সবার আগে টিকা দেয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীরা।’
গ্যাভি (জিএভিআই) ও এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচহু) এর মধ্যে করা চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। কোভ্যাক্স উদ্যোগের জেরে সব দেশে যথাসময়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া হবে। পাকিস্তানে ২০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
এই চুক্তির আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছে পাকিস্তান। অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ নাগরিকের টিকার ব্যবস্থা করতে চীন থেকে ভ্যাকসিন কেনার চিন্তা করছে ইমরান খান সরকার।
সূত্র: দ্য হিন্দুস্থান টাইমস।