মিয়ানমারজুড়ে বছরব্যাপী জরুরি অবস্থা জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে – নতুন নির্বাচন আয়োজন করে, নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় তারা। খবর আল এরাবিয়া।
এর আগে, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট এবং ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দকে আটক করে সেনাবাহিনী।
এদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জরুরি অবস্থা শেষ হলেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের সংবিধান অনুসারে এক বছরের বেশি সময় জরুরি অবস্থা জারি রাখা যাবে না। তাই এক বছরের মধ্যেই সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুত নির্বাচন আয়োজন হতে হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়ে, সর্বশেষ নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি তোলে পরাজিত এবং সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। সেই দাবি নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৮৩% সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া এনএলডি’র সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু, আলোচনা কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়।
পরে, সোমবার পার্লামেন্ট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করা হয়।