মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা ইতিমধ্যে দেশে চলে এসেছে এবং এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনও হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এজন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং মেডিকেল কলেজের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন সভা শেষে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিনে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত আছেন। এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন। যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের সহায়তা করবেন মাঠ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাঙ্গেরি বা অন্য দেশকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, সারা দেশের ৬৩ জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে আজ (সোমবার) টিকা পৌঁছে যাবে।
টিকা নিবন্ধনের সমন্বয় নিয়ে মহাপরিচালক জানান, যারা নিবন্ধন করতে পাচ্ছেন না তাদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মীরা সাহায্য করছেন। ইউনিয়ন পর্যায়েও সাহায্য করা হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। জ্বর, টিকা দেওয়ার স্থানে ফুলে গেছে, কেউ বমি করেছে তবে সবাই ১ দিন পরই সুস্থ হয়ে গেছে।
যদিও একটি সূত্র জানিয়েছে, টিকা নেওয়া বেশ কয়েকজনের কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তবে এখন সবাই সুস্থ আছেন।