মিয়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে দেশের হস্তান্তর করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটির বেসামরিক সরকারের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিল সেনাবাহিনী।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট।
এ দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া বলছে, সু চিসহ আটক হওয়া সব নেতাকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে দেশের ক্ষমতা দখলের বিষয়েও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পাইন বিবৃতির মাধ্যমে বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি। আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমেই বিরোধ নিরসন এবং যেসব বেসামরিক নেতাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই সু চির বেসামরিক সরকার এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তারপর থেকেই মূলত দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার শুরু। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেই মূলত সোমবার ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী।
মেরিস পাইন বলেন, ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সরকার গঠনের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। সোমবার নব-নির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
অপর দিকে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বিবৃতির মাধ্যমে বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন বা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করছে। যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।