ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে উদ্বুদ্ধ করতে ৯১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘শিক্ষা বৃত্তি-২০২০’ প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে এ বৃত্তির অর্থ তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদকাসক্ত ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা মাদকাসক্ত হয় তাদের অধিকাংশই তাদের বন্ধু-বান্ধব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হয়। তাই বন্ধু-বান্ধব নির্বাচন করার আগে সতর্ক থাকতে হবে। ডিএমপি পরিবারের জন্য আজকের দিনটি অনেক আনন্দের। এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। আমরা তাদের মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চাই। যাতে তারা মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।
বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা আজকে যারা সাফল্য পেয়েছ তা যথেষ্ট নয়। সামনে তোমাদের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। শুধু পুস্তকের লেখাপড়ায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যাবে না। দেশ, দেশের স্বাধীনতা, মূল্যবোধ, সারা বিশ্ব সম্পর্কে তোমাদের ধারণা রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের ব্রত তোমাদের মননে থাকতে হবে। আমারা যারা পুলিশে চাকরি করি তাদের জন্য একটি জটিল সমস্যা হলো সন্তানদের লেখাপড়া। কারণ যেকোনো সময় আমাদের বদলি হতে পারে। তাই তাদের লেখাপড়ার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তার জন্য আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ক্যাডেট কলেজের আদলে বিভাগীয় শহরগুলোতে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।
৯১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পিইসি থেকে ২২ জন, জেএসসি থেকে ২০ জন, এসএসসি থেকে ২০ জন, ও লেভেল থেকে একজন, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি থেকে ২১ জন, শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ১৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বমোট ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।