তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি ধারণা সূচকে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের খারাপ অবস্থান কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অন্য এনজিও’র মতো টিআই-ও তাদের পরিচালনার জন্য যারা অর্থ যোগান দেয়, তাদের স্বার্থ দেখে। আর তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনেটি আমি দেখেছি, সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আগের স্থানেই আছে কিন্তু অন্যদের স্কোর ভালো হওয়ায় তাদের মতে দু’ধাপ নিচে নেমেছে। তবে বাংলাদেশের অবস্থান আসলে নিচে নেমেছে, না তাদের পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এটি হয়েছে, সেটিও একটি বিষয়। কারণ তাদের নানা পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা আমাদের জানা।’
ড. হাছান বলেন, ‘টিআই একটি এনজিও। এর প্রতিবেদন আমাদের দেশে যেভাবে প্রচার হয়, পাশের দেশেও তা এতো গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয় না। অন্যান্য এনজিও যেভাবে চলে, তারাও সেভাবে দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে চলে এবং ফান্ডদাতাদের স্বার্থও টিআই-কে সংরক্ষণ করতে হয়।’
সিপিআই ২০২০ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার নিচের দিক থেকে বাংলাদেশ ১২তম অবস্থানে দেখানো হয়েছে যেটা সিপিআই-২০১৯ এর ১৪তম স্থানের চেয়ে দুই ধাপ নিচে। দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে, টিআইয়ের এই রিপোর্ট সঠিক নয়।