কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসার ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়ে ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুতের খোলা তারে স্পৃষ্ট হয়ে উম্মে হাবিবা (১০) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দেড়টায় চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া দক্ষিণ বাজার দারুল ইসলাম মহিলা কওমি মাদরাসার ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের পর রাত ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে মৃত্যু হয় তার।
মাদরাসাছাত্রী হাবিবা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংটিয়ারা গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে ওই মাদরাসার আবাসিক হলে থেকে পড়ালেখা করত।
একই মাদরাসার একাধিক ছাত্রী জানায়, দুপুর দেড়টায় গোসল শেষে কাপড় শুকাতে ছাদে উঠে হাবিবা। ছাদের উপর বিদ্যুতের তারে ভিজা কাপড় লাগতেই আগুন জ্বলে উঠে। আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি তার সারা গায়ে আগুন জ্বলছে।
মাদরাসায় কর্মরত আখের আহম্মেদ জানান, তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। রাত ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে তার।
স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ মিয়া জানান, বিদ্যুৎ আইনানুযায়ী জাতীয় গ্রিডের ৩৩ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইন থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্বে ভবন নির্মাণের বিধান আছে। কিন্তু মাধাইয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী সফিকুল ইসলাম সবু টাকার জোরে ভবন নির্মাণ করেছেন। তার ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদের এক অংশের উপরেই রয়েছে বিদ্যুতের ওই খোলা তার।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবন নির্মাণ করে সেখানে দ্বিতীয় তলায় একটি মহিলা মাদরাসার জন্য ভাড়া দেন। ওই খোলা তারে প্রাণ হারাল ওই মহিলা মাদরাসার শিশুছাত্রী হাবিবা।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় ভবনের মালিককে আমরা নোটিশ করব এবং বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।