দিনভর পুলিশি লাঠিপেটা আর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েও কৃষকদের বিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কিছু এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। এমনকি বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশনও।
এবার পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দিল্লির রেড ফোর্টে অবস্থান নেওয়া কৃষকদের অবশ্য সন্ধ্যার পর পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে দিল্লির সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, টিয়ার গ্যাস আর মোড়ে মোড়ে বসানো কাঁটাতারের ব্যারিকেড ভেঙে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দিল্লির ঐতিহাসিক রেড ফোর্টে পৌঁছে যায় ভারতের আন্দোলনরত কৃষকেরা। ভেতরে প্রবেশের পর দুর্গের চূড়ায় উড়িয়ে দেওয়া হয় কৃষক আন্দোলনের পতাকা। পূর্ব ঘোষিত ট্রাক্টর র্যালি নিয়ে কৃষকেরা মঙ্গলবার দিল্লি অভিমুখে রওনা দিলে তাদের ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ।
দিল্লির বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, নিরাপত্তার প্রয়োজনে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আলোকেই সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলোই এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে দিল্লির বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশন।
পুরনো দিল্লির ঐতিহাসিক রেড ফোর্টে অবস্থান নেওয়া কৃষকদের সন্ধ্যার পর পর্যায় ক্রমে সরিয়ে দেওয়া শুরু হয়। আন্দোলনরত কৃষক নেতারা প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর র্যালির কর্মসূচি অবসানের ঘোষণা দেওয়ার পর সরে যেতে শুরু করে কৃষকেরা।
উল্লেখ্য, ভারতের নতুন প্রবর্তিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে গত দুই মাস ধরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসছে কৃষকেরা। দিল্লির প্রবল ঠাণ্ডার মাঝে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষকদের সঙ্গে ভারত সরকারের ১১ বার বৈঠক হলেও সেখানে আইন প্রত্যাহার নয়, স্থগিত রাখার প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছে। তবে তা মেনে নিতে অস্বীকার করে আসা কৃষকেরা প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর র্যালির কর্মসূচি ঘোষণা করে।