ঈমানের আভিধানিক অর্থ আসলে আমরা সবাই জানি। ঈমান অর্থ বিশ্বাস, আল্লাহ ও তার রাসূল(সাঃ) যা বলেছেন, করেছেন, সম্মতি দিয়েছেন তার সকল কিছুর উপর বিশ্বাস রাখাই ঈমান। কিন্তু এই আভিধানিক অর্থকে বিস্তৃত করে আমি নিজে কি ভেবেছি ঈমান কি? কিসে ঈমান বাড়ে?
আল্লাহ’র রাসূল(সাঃ) বলেছেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করাই হচ্ছে ঈমান এবং তা বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, যাতে তারা তাদের ঈমানের সংগে ঈমাণ মজবুত করে নেয়(সূরা ফাতহ ৪৮/৪); আরেক জায়গায় বলেন, আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম(সূরা কাহাফ ১৮/১৩)। আল্লাহ আরও বলেন, এবং যারা সৎ পথে চলে আল্লাহ তাদের অধিক হেদায়াত দান করেন( সূরা মারইয়াম ১৯/৭৬)
এবং যারা সৎপথ অবলম্বন আল্লাহ তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন(সূরা মোহাম্মাদ ৪৭/১৭)
আর আল্লাহর জন্য ভালবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃনা করা ঈমানের অংশ। উমার ইবনু আবদুল আযীয(রহঃ) আদী ইবনু আদী (রহঃ) এর নিকট এক পত্র লিখেছিলেন, ‘ঈমানের কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পূর্নভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ন হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট ব্যক্ত করবো, যাতে তোমরা তার উপর আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখো তোমাদের সাহাচার্যে থাকার জন্য আমি আকাংখিত নই’।
সাহাবা(রাঃ)গণ জানতেন কিসে ঈমান বাড়ে, মু’আয(রাঃ) বলতেন, এসো আমাদের সংগে বস, কিছুক্ষন ঈমানের আলোচনা করি। ইবনু উমার(রাঃ) বলেন, বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌছতে পারেনা যতক্ষন পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয়ের সন্দেহ সৃষ্টি করে তা পরিত্যাগ না করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকলে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে : তার কাছে সব কিছুর চেয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সবচেয়ে বেশি প্রিয় হলে, সে কাউকে শুধু আল্লাহর জন্য ভালোবাসলে, সে আগুনে পড়াকে যেমন অপছন্দ করে, কুফরির দিকে ফিরে যেতে এমন অপছন্দ করলে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৯৪১)