বিশ্বব্যাপী করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়েছে বাংলাদেশের। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করা বিভাগ ইউএন ডেসার (ইউনাইটেড ন্যাশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপি বাড়লেও ২০১৯ সালের পঞ্জিকা বছরের তুলনায় তা অনেক কম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল আট দশমিক চার শতাংশ। যেখানে ভারতের জিডিপি নয় দশমিক ছয় শতাংশ এবং পাকিস্তানের দুই দশমিক সাত শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে চার দশমিক তিন শতাংশ, ভারতের কমে হয়েছে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ, পাকিস্তানের এক দশমিক দুই শতাংশ, ভুটানের শূন্য শতাংশ, নেপালের শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ, ভারতের সাত শতাংশ, পাকিস্তানের শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ, ভুটানের তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ, মালদ্বীপের নয় দশমিক নয় শতাংশ, আফগানিস্তানের চার দশমিক চার শতাংশ এবং শ্রীলংকার তিন দশমিক এক শতাংশ। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে অনেক দেশ ঘুরে দাঁড়ালেও ঝুঁকি রয়েছে।
কেননা, মহামারির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য দ্রুত গতিতে বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে ইউএন ডেসা।