spot_img

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় নতুন মসজিদ নির্মাণ শুরু হচ্ছে

অবশ্যই পরুন

আগামী মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকে অযোধ্যার ধান্নিপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হতে চলেছে নতুন মসজিদ তৈরির কাজ। সংবিধানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠান দিন এই নির্মাণকাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত অল ইন্ডিয়া সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) সম্পাদক আতাহার হুসেনের জানান, দুটি কারণে ২৬শে জানুয়ারিকে বাছা হয়েছে। প্রথমত, ইসলামে প্রতিটি দিনই পবিত্র। দ্বিতীয়ত, ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, যে দিন সংবিধান উপহার দিয়েছিল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অধিকারের নিশ্চয়তা। দেশবাসীর জন্য দিনটির গুরুত্বই আলাদা। ধান্নিপুরের মসজিদকে গড়ে তোলা হবে সমান অধিকারের প্রতীক হিসাবে।

আতাহার জানান, ধান্নিপুরে বরাদ্দ জমিতে মসজিদ ছাড়াও থাকবে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, অত্যাধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র এবং কমিউনিটি কিচেন। ওয়াকফ বোর্ড এবং আইআইসিএফ জানিয়েছে, ভারবহন-সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য রোববার বরাদ্দ জমির মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফারুকি বলেন, ২৬ তারিখ আনুষ্ঠানিক সূচনার প্রতীক হিসাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে। আতাহার জানান, পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে নতুন মসজিদের যাবতীয় কাজকর্ম হবে সৌরশক্তিতে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে অর্ধেক জমিতে হবে সবুজায়ন। তাতে থাকবে পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিপন্ন বনাঞ্চলের গাছ।

২০১৯-এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার মন্দির-মসজিদ মামলার রায়ে বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমির পুরোটাই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করেছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে জমিতে বিরাজমান ছিল বাবরি মসজিদ। সর্বোচ্চ আদালত মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করেছে অযোধ্যা জেলারই ধান্নিপুরে, মন্দির নগরী অযোধ্যা থেকে ২০-২২ কিলোমিটার দূরে ধান্নিপুরে। শুধু স্থান বদল নয়, নতুন মসজিদের নাম এবং চেহারাতেও বাবরির কোনও চিহ্ন থাকবে না। জাফর ফারুকি এবং আতাহার হোসেনদের বক্তব্য, ‘বাবর শাসক ছিলেন। আমরা শাসকের নামে মসজিদের নাম রাখতে চাই না। আর যে মসজিদের এখন আর অস্তিত্বই নেই সেটির স্থাপত্য নকল করারও প্রশ্ন ওঠে না। নতুন মসজিদ হবে সর্বাধুনিক স্থাপত্যের।’

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সাম্প্রতিক নানা সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচক বাবরি মসজিদ পুননির্মাণের দাবিদারদের অন্যতম মামলাকারী মাঝবয়সি ইকবাল আনসারি। অযোধ্যার বাড়িতে বসে শুক্রবার তিনিও বলেন, ‘বাবর কোনও ধর্মগুরু ছিলেন না যে তার নামে মসজিদ গড়তে হবে।’ ইকবালের বাবা প্রয়াত হাসিম আনসারিই ছিলেন মূল মামলাকারী। পরে মামলা লড়েন ইকবাল। ইকবাল বলেন, ‘মন্দির-মসজিদ বিবাদ শেষ হয়ে গিয়েছে।’

সুপ্রিম কোর্ট মসজিদ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডকে। তারা আইআইসিএফ-কে দায়িত্ব দিয়েছে অর্থ সংগ্রহ-সহ নির্মাণকাজ পরিচালনার। আতাহার জানান, অর্থ সংগ্রহে আয়কর ছাড়ের সুবিধা চেয়ে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছেন।

সূত্র: টিওআই।

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলের নিলামে এক বছরে ‘৪৯ সেঞ্চুরি’ করা ১৩ বছর বয়সী বৈভব

সময়ের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যেখানে দেখা মেলে, হালের অন্যতম সেরা তারকাদের। অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ