মানুষের ২৪ ঘন্টার জীবনে ইসলামী হুকুমত রয়েছে। নির্দেশনা রয়েছে কি করবো আর কি করবো না। মুসলমানের ঘুমও নেক আমল হবে যদি আল্লাহ’র হুকুম আর নবী(সাঃ) এর নির্দেশনা মানতে পারি। এখানেই ইসলামের সৌন্দর্য, ঘুম তো নিজের জন্যই, আমি তো ঘুমাবোই, শুধুমাত্র কিছু সুন্নাতের উপর আমল করে নেকি উপার্জন করা যায়।
১. ঘুমনোর পুর্বে ওজু করা।
২. ইশার নামায পড়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া। যাতেকরে তাহাজ্জুদের সময় জাগ্রত হতে সহজ হয়।
৩. ঘুমানোর আগে বিসমিল্লাহ পড়ে নিম্নোক্ত কাজ সমূহ করা। দরজা বন্ধ করা। বাতি নিভানো। পানির মশক বা খাদ্য দ্রব্যের অন্যান্য পাত্রসমূহ ঢেকে রাখা। ঢাকার কোন বস্তু না থাকলে বিসসিল্লাহ পড়ে পাত্রের মুখে একটি লাঠি দিয়ে রাখা।
৪. ঘুমানোর পুর্বে বিছানা ভাল ভাবে ঝেড়ে নেয়া সুন্নাহ।
৫. উপুড় হয়ে ঘুমাবে না কেননা এভাবে শয়তান শয়ন করে থাকে।
৬. ডান কাত হয়ে কিবলামুখী হয়ে ঘুমানো সুন্নাতের আমল।
৭. ঘুমানোর পূর্বে কয়েকবার দূরূদ শরীফ পাঠ করবে এবং তাসবীহ ফাতেমী। অর্থাৎ ৩৩ বার সুবহানাল্লা, ৩৩ বার আলহামদুুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে।
৮. ঘুমানোর পূর্বে তিনবার এসতেগফার, ঘুমানোর দোয়া ও কালেমায়ে তাইয়্যেবা পাঠ করা।
৯. ঘুমানোর পুর্বে সুরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে হাত বুলিয়ে দেয়া সুন্নাত।
১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে তিনবার ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানীর রাজীম’ পড়ে বাম দিকে থুথু ফেলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়ে নিম্নের দুয়াটি পড়া,
اَللهُمَّ اِنّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هذِه الرُّؤْيَا
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন শাররী হাজিহীর রুঈয়া।
১১. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর তিনবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং কালেমায়ে তাইয়্যেবা পড়ার পর ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার দুয়াটি পড়বে।
১২. ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক করা সুন্নাত।
১৩. ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার পর পরই উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল এবং চক্ষুদ্বয়কে হালকা ভাবে মর্দন করবে যাতে ঘুমের তন্দ্রা দূর হয়ে যায়।
এই আমল গুলো করা কিন্তু কষ্টের না, শুধু একটু ইচ্ছাই এই সুন্নাত গুলোর উপর আমলের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ আমাদের সুন্নাতের উপর উঠার তৌফিক দান করেন।