spot_img

অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে উত্তাল তিউনিসিয়া

অবশ্যই পরুন

আবারও উত্তাল তিউনিসিয়া। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে দেশটির বিক্ষোভকারীরা। দারিদ্র্য ও স্বৈরাচার বিরোধী বিক্ষোভের মাধ্যমে দেশটির একনায়ক শাসককে অপসারণের দশ বছর পর এই আন্দোলন শুরু হলো। খবর আলজাজিরা।

দেশটির সবচেয়ে শ্রমিক অধ্যুষিত জেলা এতাধামেন, যা সম্প্রতি গড়ে ওঠা এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। ওই এলাকার ৩৪ বছরের বাসিন্দা চাবিব (ছদ্দনাম) বলেন, ‘আমরা সামাজিক ন্যায়বিচার ও কাজের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।’

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতের তার মতো আরও অনেকেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তিউনিসিয়ার সুবিধাবঞ্চিত এই অঞ্চলটি ব্যতীত আরও ১৫টি শহরে রাত-দিন ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই সংঘর্ষে ব্যাপক ‘ভাঙচুর ও লুটপাট’ হয়েছে বলে দাবি করছে দেশটির সরকার। ২০১১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসক জাইন এল আবিদীন বেন আলীকে ক্ষমতাচ্যুত করার দশম বার্ষিকীর দু’দিনের মাথায় কর্তৃপক্ষ করোনা মহামারি রোধে চার দিনের লকডাউন ঘোষণা করার পরই এই বিক্ষোভ দেখা দেয়।

তবে এই বিক্ষোভে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন অনেক অংশগ্রহণকারী। রাতের এই মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে বিক্ষোভকারীরা। একইসঙ্গে অনেক বিক্ষোভকারীকে ভাঙচুর ও লটুপাট চালাতে দেখা গেছে। এছাড়াও রাস্তা বন্ধ করতে টায়ারও জ্বালিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তিউনিসিয়ার সরকার।

রাতে বিক্ষোভকারী যুবকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে তিউনিসিয়ার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, এ ঘটনায় দেশটির পুলিশ এক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে। তারা এসব বন্দিদের মুক্তির জন্য দিনের বেলায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ