বৃহস্পতিবার দেশে এসে পৌঁছেছে সেরামের ২০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে। সহজ এবং সাবলীলভাবে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। আইসিটি বিভাগের সফটওয়্যার অ্যাসুরেন্স ল্যাবে এখন অ্যাপটির মান যাচাই চলছে। করোনার ভ্যাকসিন নিতে হলে প্রথমে এই অ্যাপে নিজেদের তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্ত করতে হবে। সেখান থেকে সরকার ভ্যাকসিন গ্রহীতার সম্পর্কে যেমন সব তথ্য পাবেন, তেমনি যারা ভ্যাকসিন নেবেন, তারাও পরবর্তী আপডেট সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্য বুলেটিন-২০২০-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শিগগির উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনলাইন নিবন্ধন প্ল্যাটফরম ‘সুরক্ষা.গভ.বিডি’ ওয়েবসাইট।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আপনারা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত কোনো গুজবে কান দেবেন না। আগামী ২৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অ্যাপটি হস্তান্তর করা হবে।’
এ সময় করোনাকালে টেলিমেডিসিন সেবার গুরুত্ব তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টেলিমেডিসিন সেবার জন্য কল এসেছে ২ কোটি ৩৬ লাখ। এ সেবা প্রদানে ৪ হাজার ডাক্তার যুক্ত রয়েছেন। তারা বিনা পয়সায় এই টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছেন। ৩৩৩-সহ সরকারের টেলিমেডিসিন সেবায় এসব কল এসেছে। সব মিলিয়ে ৮০ শতাংশের বেশি করোনা রোগী টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন।