এ বার উত্তর চীনে উৎপাদিত আইস ক্রিমেও পাওয়া গেল করোনাভাইরাস। যে সব আইস ক্রিমগুলোতে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে দেশটির প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে, তিয়ানঝিন মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় আপাতত সেই সব ক্রেতাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা বলা হয়েছে, যারা এই আইসক্রিম খেয়েছিলেন। তিয়ানঝিনের একটি স্থানীয় সংস্থা এই আইসক্রিম তৈরি করেছিল। সংস্থার কারখানা অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ওই সংস্থার তৈরি আইস ক্রিমের তিনটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তিনটিতেই রয়েছে করোনা ভাইরাস।
সূত্রের খবর, সংস্থাটি একাধিক দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে আইস ক্রিম তৈরি করত। তার মধ্যে রয়েছে মিল্ক পাউডার, যা আনা হত নিউজিল্যন্ড থেকে। এ ছাড়া অন্য একটি কাঁচামাল আনা হত ইউক্রেন থেকে। এর থেকেই আইসক্রিমে করোনা ভাইরাস এসে থাকতে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।
এই খবর আসার পর কারখানার ১৬০০ কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে ৭০০ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্টের ফলের জন্য অপেক্ষা করছে সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। হতে পারে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে আইস ক্রিমে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও খাবারে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একাধিক প্যাকেটজাত দ্রব্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এবিসি নিউজ।