এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন বেশ কিছুদিন হয়। একটি টুর্নামেন্টও খেলে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফেরার পর্বটা ভালো হয়নি, পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে চেষ্টা করেও চেনা ছন্দে ফেরা হয়নি বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৯ ম্যাচে মাত্র ১২.২২ গড়ে ১১০ রান করেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার, সর্বোচ্চ ছিল ২৮ রানের ইনিংস।
নিজেকে ফিরে পেতে দলীয় অনুশীলনে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সময় কাটানো সাকিব নিজেদের মধ্যকার প্রথম অনুশীলন ম্যাচেও ছিলেন অনুজ্জ্বল। ২৩ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। বলে হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। অবশেষে খারাপ সময়কে কিছুটা পেছনে ঢেললেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বিকেএসপিতে দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বলের হিসাব কষলে অবশ্য সাকিবের এই ইনিংসকে বাহবা দেওয়ার সুযোগ নেই। ৫২ রান করতে সাকিব খরচা করেছেন ৮২ বল। মেরেছেন একটি চার ও একটি ছক্কা। এমন ইনিংস সাকিবের স্বভাববিরুদ্ধই বলা যায়।
অবশ্য সাকিব হয়তো বলের দিকে তাকিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছেন না। কারণ দীর্ঘ সময় ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় ব্যাটে মরিচা পড়েছে, সেটা দূর করাতেই আপাতত নজর তার। সেদিক থেকে এই হাফ সেঞ্চুরিটা সাকিবকে নিশ্চয়ই সাহস যোগাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার লড়াইয়ে।
সাকিবের রানে ফেরার দিনে মাহমুদউল্লাহ একাদশের ব্যাটিং অনুশীলন ভালোই হয়েছে। ৪৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৩ রান তোলে তারা। এর মধ্যে সাকিবের ৫২ রান সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম শেখও। বাঁহাতি এই ওপেনার ৬৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করেন। এ ছাড়া ইয়াসির আলী ২৪, মুশফিকুর রহিম ২৫, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩১, মেহেদী হাসান মিরাজ ১১, তাইজুল ইসলাম ৪ ও হাসান মাহমুদ ২ রান করেন।
তামিম একাদশের হয়ে বল হাতে স্পিন ভেল্কি দেখিয়েছেন মাহেদী হাসান। ডানহাতি এই অফ স্পিনার ৯ ওভারে ৩১ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ উইকেট নিলেও বেশ খরুচে ছিলেন, ৯ ওভারে ৬২ রান দেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদ। আফিফ হোসেন ধ্রুব উইকেটশূণ্য থেকে গেছেন।