spot_img

সরকার কৃষিকে আধুনিকায়ণ ও যান্ত্রিকীকরণ করছে: পলক

অবশ্যই পরুন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কৃষি-বান্ধব বর্তমান সরকার ফসলের গুণগতমান উন্নয়ন ও পরিমাণ বৃদ্ধির জন্যে কৃষিকে আধুনিকায়ণ ও যান্ত্রিকীকরণ করছে। এই লক্ষ্যে মাটির নীচে সেন্সর বসানো এবং উপর থেকে জিও স্পেশাল সার্ভের মাধ্যমে ডিজিটাল ম্যাপিং করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের শ্রীকুন্ডা খাল খনন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পানাসি সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই খাল খনন কাজ সম্পন্ন হলে এলাকার ৩ হাজার একর জমির ফসল জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জিও স্পেশাল সার্ভের মাধ্যমে মাটির গুণগতমান সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে। মাটির মান বিবেচনায় নিয়ে কৃষকরা সময়মত শস্য রোপণ ও কর্তন করতে পারবেন। তারা জানতে পারবেন, কোন মাটিতে কোন ফসল ভালো হবে। তারা জানতে পারবেন, আগামীতে আবহাওয়া কেমন থাকবে, বৃষ্টি হবে কী না অথবা শীত কেমন পড়বে। তারা আরো জানতে পারবেন, মাছ চাষের জন্যে পানিতে অক্সিজেন কেমন আছে, মাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদা পূরণ হচ্ছে কী না। সরকার কৃষির উন্নয়নে ইন্টারনেট অব থিংস্ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিগ ডেটা ব্যবহার করার কথাও ভাবছে সরকার। এগ্রিকালচার এন্ড কমার্শিয়াল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটও ব্যবহার করা হবে।

পলক বলেন, এখন আর কৃষককে সারের জন্যে নেতাদের কাছে ধর্না দিতে হয় না, লাঞ্চিত হতে হয় না , মামলার মুখোমুখীও হতে হয় না। জননেত্রী শেখ হাসিনের নেতৃত্বাধীন কৃষি-বান্ধব বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সময়মত উন্নত বীজ, সার তাদের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকট দূর হওয়াতে কৃষকরা ডিজেলের পরিবর্তে অনায়াসে বৈদ্যুতিক সেচ যন্ত্রে জমি চাষাবাদ করতে পারছেন। করোনাকালীন সময়ে কৃষি শ্রমিকের আন্তঃজেলা যাতায়াত নিশ্চিত করার ফলে সময়মত কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলাতে বিগত ১২ বছরে ১০০ কিলোমিটার খাল খননের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। জমিতে সেচের ব্যবস্থাসহ আবাদী জমির জলাবদ্ধতা সমস্যার নিরসন হয়েছে। এরফলে চলনবিলে এখন ৬০ হাজার টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। খাল খননের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদে সাবমার্সিবল রাস্তার ব্যবস্থা করার ফলে কৃষকরা অনায়াসে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ করতে পারছেন। সরকারের উদ্দেশ্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।

সিংড়া উপজেলার সুকাশ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানাসি সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ