মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই মনে করছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। তবে, এটিকে একটি ‘বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। তার মতে, হাতেগোণা কয়েকটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয়।
টুইটারে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বিষয়ে ১৩টি ধারাবাহিক টুইটে ডরসি বলেছেন, কারো অনলাইনে দেয়া বক্তব্যের কারণে বাস্তব বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হলে পদক্ষেপ নেয়া উচিত, যদিও অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিভেদমূলক এবং একটি নজির সৃষ্টি হলো যা আমি মনে করি বিপজ্জনক।
এক দীর্ঘ টুইট থ্রেডে ডরসি বলেন, গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার জেরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার এই ঘটনাকে তিনি কোনোভাবেই উদযাপন করছেন না বা এর জন্য গর্ববোধ করছেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুইটার প্রধান।
ডরসি আরো লিখেছেন, টুইটারের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, যা মানুষ পছন্দ করছেন না, তাহলে তারা অন্য কোথাও গিয়ে ক্ষমতা যাচাই করতে পারেন।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের ওপর সোস্যাল মিডিয়াজুড়ে বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা যাচ্ছে। এ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডরসি। টুইটারের পরপরই ফেসবুক ও ইউটিউব ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। সর্বশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্ন্যাপচ্যাট।
হাতেগোনা কয়েকজন প্রযুক্তিবস সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ইন্টারনেটে কে মত প্রকাশ করতে পারবে আর কে পারবে না। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে সেন্সর করার অভিযোগও রয়েছে । এটি মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘনও- বিদ্যমান এই সমালোচনার কথা স্বীকার করেছেন ডরসি। তিনিও মনে করেন এটি ঠিক নয়।
তিনি বলেন, নীতিমালায় অসামঞ্জস্য এবং স্বচ্ছতার অভাবে উন্মুক্ত ইন্টারনেট তৈরির প্রচেষ্টা আটকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেস অব্রাদোর ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের সমালোচনা করেছেন। যদিও তারা ট্রাম্পের মিত্র নন। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন তাদের মতো অনেকে।
সূত্র: বিবিসি