spot_img

কানাডায় ভ্যাকসিনেশন পরিকল্পনায় স্বচ্ছতার দাবি

অবশ্যই পরুন

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে নাটকীয় ভাবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ইতিমধ্যেই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, জানুয়ারির মধ্যে কানাডায় এক মিলিয়ন ডোজ টিকা এসে পৌঁছুবে। প্রতিজনকে দুটি করে ৫ শত হাজার নাগরিককে জানুয়ারীর মধ্যেই টিকা দেয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে জনপ্রতি ভ্যাকসিন প্রয়োগে অন্টারিও অনেক পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন লিবারেল পার্টির নেতা স্টিভেন ডেল ডুকা। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন হচ্ছে টানেলের শেষ প্রান্তের আলো। এটির প্রয়োগ যদিও এক সপ্তাহও বিলম্ব হয় তাহলেও এর পরিণতি খারাপ হবে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকলেও প্রয়োগ হয়েছে খুবই কম। প্রয়োগে বিলম্বের পেছনে কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য হয়।

প্রদেশের সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী, ফাইজার-বায়োএনটেকের ৯০ হাজার ভ্যাকসিনের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ডোজ। ভ্যাকসিনেশনের এ ধীর গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমালোচকরা। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের ব্যক্তিরাও আছেন। আর বিরোধী দলীয় আইন প্রণেতারা ভ্যাকসিনেশন পরিকল্পনায় আরও স্বচ্ছতা দাবি করেছেন।

ছুটির দিনে ভ্যাকসিনেশনের গতি কম হওয়ায় সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছে অন্টারিও সরকার। এ অবস্থায় ভ্যাকসিনেশন পরিকল্পনায় আরও স্বচ্ছতা আনার দাবি তুলেছেন বিরোধী দলের আইন প্রণেতারা।

সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রদেশের ১৯টি ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিকের মধ্যে রোববার খোলা ছিল পাঁচটি। ১০টি চালু ছিল সোমবার। তবে মঙ্গলবার থেকে সব ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিক খোলা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনডিপি নেতা আন্দ্রিয়া হরওয়াথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুই সপ্তাহ আগেই অন্টারিওতে ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। কিন্তু সরকার সেগুলো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োগ না করে, পরিবহনের উপায় খুঁজতেই হিমশিম খাচ্ছে।

ভ্যাকসিনেশনের ধীর গতির জন্য কর্মী স্বল্পতা দায়ি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেক্সান্দ্রা হিলকেন। তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ লং-টার্ম কেয়ার হোম ও হাসপাতালে কর্মী সংকট তীব্র করে তুলেছে। এ কারণেই ছুটির দিনে কম ভ্যাকসিনেশন খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল।

উল্লেখ্য, কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮১ হাজার ৩২৮ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ হাজার ৩শ’ ৮৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬ শ’ ৫২ জন।

অন্যদিকে দেশটির সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ে কিভাবে নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা যায় তার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করছে।

সর্বশেষ সংবাদ

অধিনায়কের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ জোসেফ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে মতের অমিল হওয়ায়...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ