ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ‘লিভ টুগেদার’ করতো অন্তর চৌধুরী ও জেসমিন আক্তার নামক প্রেমিক জুটি। জেসমিনের বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে। আর অন্তর চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী এলাকার কামাল চৌধুরীর ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেই বাসা থেকে অন্তর চৌধুরীর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিকা জেসমিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের প্রেমিকা জানান, গত তিন মাস আগে কলেজপাড়া জিলানী চৌধুরীর মালিকানাধীন ভবনের নিচতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন জেসমিন আক্তার। সেখানে তার প্রেমিক অন্তর চৌধুরী নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। প্রেমিক জেসমিনকে বিয়ে না করলেও গত দুই মাস ধরে ওই বাড়িতে একসঙ্গে বাস করতেন তারা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ পাড়ার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করেন। গত এক বছর আগে তার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে অন্তর চৌধুরীর সঙ্গে তিনি ঘর বাধার স্বপ্ন দেখেন।
জেসমিন জানান, সম্প্রতি অন্তর চৌধুরী বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তবে চাহিদা অনুযায়ী টাকা যোগাড় করতে না পেয়ে ক্ষোভে নিজের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হাতের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত করেন। এ সময় প্রেমিকা জেসমিন তাকে ধার করে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ অবস্থায় জেসমিন গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হোটেল থেকে খাবার নিয়ে বাসায় এসে দেখেন অন্তর চৌধুরী গলায় উড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। পরে এলাকার কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শর করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্তর চৌধুরীর প্রেমিকা জেসমিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।