সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার চার্জ গঠনে বাদীর আপত্তি না থাকার বিষয়টি আমলে নিয়েছেন আদালত।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক আলোচিত এ মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী রোববার (১৭ জানুয়ারি)।
তবে সেদিন আসামিপক্ষ আদালতে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল করলে পিটিশনের উপর শুনানী হবে। গত মঙ্গলবার এই আদালতে অভিযোগপত্র গৃহিত হয়।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম।
মামলার বাদি মাইদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। তাই আদালত তা আমলে নিয়েছেন। আসামিদের কঠোর শাস্তির জন্য তিনি আদালতের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র্যাব।
গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। মামলার আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে।