যৌন নির্যাতনসহ মহিলাদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগে ৬৪ বছরের জনপ্রিয় ধর্মগুরু ওকতারকে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
পুলিশ জানায়, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রধান ওকতারের সংগঠনকে অনেকদিন আগেই অপরাধীদের গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত করেছিল তুরস্কের প্রশাসন। ২০১৮ সালে এই সংগঠনের প্রধান ওকতার ও বেশ কয়েকজন অন্য প্রধানদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওকতারের প্রতিক্রিয়াশীল ভাবনায় মহিলারা পোষ্য বলে বিবেচিত হত। টিভিতে কখনো একা দেখা যেত না তাকে, সর্বত্র মহিলা পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতেন তিনি।
আদালতের সামনে বড়াই করে মুসলিম ধর্মগুরু আদনান ওকতার বলেছিলেন, আমার এক হাজার বান্ধবী আছে। কিন্তু তার কথা শেষ পর্যন্ত শুনতে রাজি হয়নি আদালত। ধর্মগুরু দাবি করতেন, তার জীবনে প্রেম বিলিয়ে চলাই লক্ষ্য। অশেষ প্রণয় তার হৃদয়ে আছে।
সংগঠন ও সংগঠনের প্রধানকে দুই বছর আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর ২৩৬ জন সন্দেহভাজনকে মামলায় যুক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯৯০ সাল থেকে একাধিক যৌন কেচ্ছায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে ওকতারকে। কিন্ত ২০১১ সাল থেকে একাধিক মামলা জমতে থাকে তার নামে। এক মহিলা জানান ধর্ম প্রচারের নামে নৃশংস যৌন অত্যাচার করেন ওকতার। পুলিশ পরে ওকতারের বাড়ি তল্লাশি করে ৬৯ হাজার গর্ভ নিরোধক পায়। যেগুলো জোর করে তার মহিলা অনুগামীদের খেতে বাধ্য করতো ধর্মগুরু।