করোনাভাইরাসের উৎসভূমি চীনে আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। প্রধান প্রধান শহরগুলোতে হঠাৎ করে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির হুবেই প্রদেশের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এখনও দাপট দেখিয়ে চলছে করোনা। এর মধ্যে বদলে গেছে করোনার ধরন, বৈশিষ্ট্য।
জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সোমবার রয়টার্স জানিয়েছে, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর চীনে প্রথম বারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। হুবেইতেও সংক্রমণ বাড়ছে। সবমিলিয়ে সংক্রমণ বেড়েছে দেশজুড়ে।
উত্তর-পূর্ব হিলংজিয়াং প্রদেশের একটি কাউন্টিতে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত হুবেইতে স্থানীয় সংক্রমণ ঠেকেছে ৮৫ তে, যার ৮২টিই নতুন। লিয়াওনিং প্রদেশে দুটি এবং বেইজিংয়ে একজনের শরীরে নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত চীনে যতজন রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে বাইরের দেশ থেকে আসা রোগী রয়েছেন ১৮ জন। বাকিগুলো স্থানীয় সংক্রমণ।
এর আগে গত ৩০ জুলাই সর্বশেষ দেশজুড়ে ১২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর নতুন করে একদিনে শনাক্ত হলো সর্বোচ্চ ১০৩ জন। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চীনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৫৩৬ জন, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের।