পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত অধ্যুষিত পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউজ ও কটেজ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমুদ্রের সুন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটন নগরীতে ছুটে আসে ভ্রমন বিলাসী ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।
আর এক শ্রেণির অপরাধী চক্র হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউজ ও কটেজ ব্যবসার আড়ালে খোলে বসেছে মাদক থেকে শুরু করে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা। এসব সক্রিয় চক্র তারকা মানের কতিপয় হোটেল, এ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
শুক্রবার ( ৮ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কটেজ জোনে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস ও পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দের নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে কটেজের ম্যানেজার,কর্মচারী, যৌনকর্মী ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এ সময় ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে ১ জন কর্মচারী, ৭জন খদ্দের ও ২জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়।
মিম রিসোর্ট থেকে ১জন কর্মচারী, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আজিজ গেস্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও ২ যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘হোটেল-মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলায় কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোনও অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।