বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের আগ্রাসী তাণ্ডবের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আগামী ২১ জানুয়ারি দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে।
জরুরি অবস্থার ঘোষণার ফলে ওয়াশিংটন ডিসির নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য কারফিউ দেওয়া, জরুরি পণ্য সরবরাহের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিত পারবে শহর কর্তৃপক্ষ।
কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই হঠাৎ করে ট্রাম্প সমর্থকরা সেখানে তাণ্ডব শুরু করে। ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে গোলাগুলিও হয়েছে। এর পরপরই ওয়াশিংটনে কারফিউ জারি করা হয়।
বুধবার অধিবেশন চলাকালে মার্কিন কংগ্রেস ভবনে ঢুকে ট্রাম্প সমর্থকেরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক নারী নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকজন। পরে আশঙ্কাজনকভাবে আহত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৭ জন কারফিউ ভেঙেছিলেন।
ইউএস ক্যাপিটল হিস্টোরিকাল সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮১২ সালে যুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন এমন আগ্রাসনের সাক্ষী হলো। ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটনে অভিযান চালানের সময় ভাইস অ্যাডমিরাল স্যার আলেক্সান্ডার ককবার্ন ও মেজর জেনারেল রবার্ট রোসের নেতৃত্বে নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে আগুন জালিয়ে দেয় ব্রিটিশ বাহিনী। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে সে যাত্রায় ওই ভবনটি বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায়।