spot_img

নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীতে শিল্পরসিকদের ভিড়

অবশ্যই পরুন

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় চলছে মাসব্যাপি নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২১। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে করোনার আতংক উপেক্ষা করে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিল্পানুরাগি। শিল্পকর্মের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি মুঠোফোনের ক্যামেরার ফ্রেমে সেসব বন্দি করেও রাখছেন তারা। তাদের কেউ এসেছেন সপরিবারে আবার কেউ ব্যক্তিগতভাবে। শিল্পরসিকদের এমনই উপস্থিতিতি প্রাণের সঞ্চার হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার গ্যালারি ১, ৩, ৫, ৬ ও ভাস্কর্য গ্যালারিতে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার বিভিন্ন গ্যালারি ঘুরে এমনই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। যে প্রদর্শনী দেখতে ধানমন্ডি থেকে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে এসেছিলেন শিল্পপ্রেমী আমিনা অবন্তী।

তার সঙ্গে কথা হলে সাননিউজকে তিনি বলেন, “প্রযুক্তির ডামাডোলে আমরা প্রকৃতশিল্প থেকে যেন দিনদিন দূরে সরে যাচ্ছি। দিনের অধিকাংশ সময়ে মেতে থাকছি ইউটিউবসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে। যে কারণে, আমার মনে হয়-আমরা প্রকৃত জ্ঞান ও শিল্পচর্চা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি। সবকিছুতেই যেন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছি। যা আমাদের জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায়।”

তিনি বলেন, “দেশীয় সংস্কৃতির সাথে আমাদের এ প্রজন্ম পরিচিত হতে না পারে তাহলে আমরা আরোও পিছিয়ে পড়বো।”

আমিনা অবন্তীর সঙ্গে কথা বলা শেষ করতেই দেখা হয় শাহানাজ জাহানের সঙ্গে। আপদমস্তক গৃহিনী মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এই শিল্পপ্রেমী এসেছেন তার নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া সন্তানকে নিয়ে।

এই প্রদর্শনীতে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি সাননিউজকে বলেন, “সামনে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার পাশাপাশি দেশীয় নাটক, চলচ্চিত্র ও চিত্রশিল্পের প্রতি অনুরাগ থাকা একান্ত আবশ্যক। যার কারণে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে এধরণের প্রদর্শনীতে আসা। ঢাকার যেখানেই এধরণের প্রদর্শনী হয় আমি বাচ্চাকে সাথে নিয়ে যাই। না হলেতো ওরা আমাদের মূল ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুত হবে।”

গত বছরের ৩০ নভেম্বর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা গ্যালারিতে শুর হয় এই প্রদর্শনী। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি শেষ হবে এই প্রদর্শনী।

মাসব্যাপি নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২১ থেকে ৩৫ বছরের ৫১৯জন শিল্পীর ১৩৫০টি জমাকৃত শিল্পকর্ম থেকে নির্বাচক মন্ডলী বাছাইকৃত ৩৩৭ জন শিল্পীর ৩৬৮টি শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, প্রাচ্যকলা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, গ্রাফিক ডিজাইন, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্প, পারফরমেন্স আর্ট, নিউ মিডিয়া আর্টসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীটিতে। প্রথমবারের মতো এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদসহ মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়/চারুকলা ইন্সটিটিউট।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় সারাদেশের বিপুল সংখ্যক শিল্পী ও শিল্পরসিক দর্শকবৃন্দ অনলাইনে ভার্চুয়াল গ্যালারির মাধ্যমে প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারছেন। এছাড়াও প্রদর্শিত ছবিগুলো নিয়ে একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল পেতে দরকার রাষ্ট্র সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল পেতে দরকার রাষ্ট্র সংস্কার। আর এ কাজে সবার থেকে পরামর্শ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড....

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ