বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে নানা গুঞ্জন ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে অগণিত। পশ্চিমাদের অভিযোগ, উহানের গবেষণাকার থেকে পরিকল্পিতভাবেই ছড়ানো হয়েছে ভাইরাস। শুরু থেকে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও আন্তর্জাতিক গবেষণা দলকে উহানে তদন্তের জন্য অনুমতি দেয়নি। তবে উহানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নিজেদের অবস্থান বদলে তদন্ত দলকে চীন সফরে অনুমতি দিয়েছে চীন।
রয়টার্স জানাচ্ছে, চলতি মাসেই ১২-১৫ সদস্যের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল চীন সফর করবেন। সেখানে মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণী থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চালানো হবে গবেষণা।
আন্তর্জাতিক করোনা তদন্ত দলকে স্বাগত জানাতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বেইজিং। তদন্ত দলের চীন যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেইজিং নতুন প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে যেমন তোড়জোর শুরু করেছে তেমনি কখন, কোথায় মহামারি শুরু হয়েছে তার বিস্তারিত জানাতে ও তদন্তে সহায়তা প্রস্তুতি শুরু করেছে।
উহানের করোনা উৎপত্তি নিয়ে সমালোচনা প্রত্যাখ্যান কররার পাশাপাশি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সোমবার বলেছেন যে, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলকে স্বাগত জানাবে।
রয়টার্স বলছে, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিশ্বের ১৮ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে যে ভাইরাসের জন্য অভিযুক্ত চীন, তারা সেখানকার সংবেদনশীল দিকগুলোর যথাযথভাবে তদন্ত করার অনুমতি নাও দিতে পারে। তবে এই বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে চীন এমন আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা এরই মধ্যে তদন্ত দলকে স্বাগত জানাতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
শনিবার দেশটির জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ি চীনের মহামারি প্রতিরোধে ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, চীন কেবল নিজেদের দেশে সংক্রমণ রোধ করছে না, বরং দেশ শতাধিক দেশকে সহায়দা করছে এবং বিশ্বব্যাপী এন্টি-মহামারি প্রতিরক্ষা গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছে’।