‘ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতকে অবশ্যই বিষাক্ত করা হয়েছে, ইজরায়েল নয়, একজন ফিলিস্তিনি দ্বারা,’ ইজরায়েলি সংবাদপত্র সুহা আরাফাতকে উদ্ধৃত করেছে। আরাফাতের স্ত্রী সুহা আরাফাত বলেছেন, ইয়াসির আরাফাতকে ইসরাইলিরা নয়, বরং ফিলিস্তিনিরাই বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছে। ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আখরনথের কাছে এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাতকারে সুহা আরাফাত ইয়াসির আরাফাতকে ইসরাইলকে দায়মুক্তি দিয়ে বলেন,‘সবাই বিশ্বাস করে ইসরাইলই অপরাধী, কিন্তু আমি এই অভিযোগ করিনি। আমি সবসময়ই বলে আসছি, ইসরাইলের কথা বলা খুবই সহজ কিন্তু আমার মনে হয় না ইসরাইলিরা আরাফাতকে হত্যা করেছে।’ আল-আকসা ইন্তিফাদা নামে পরিচিত ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদাকে ভুল পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে সুহা আরাফাত বলেন, দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে আরাফাত সন্ত্রাসের পথে এগিয়ে যান। সাক্ষাতকারে সুহা আরাফাত জানান, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হত্যাকাণ্ডে আরাফাত দুঃখ পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ইয়াসির আইজ্যাক রবিনের হত্যায় প্রকৃতই শোকার্ত ও গভীরভাবে দুঃখিত ছিলেন। কিন্তু তিনি শ্যারনের বিরুদ্ধে ঘৃণায় পূর্ণ ছিলেন।’ ১৯৯৩ সালে আরাফাত ইসরাইলের সাথে শান্তিচুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ৭৮ ভাগ ভূমি নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের কথা রয়েছে। ২০০৪ সালের নভেম্বরে ৭৫ বছর বয়সে এক ফরাসি হাসপাতালে ইয়াসির আরাফাত ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, বিষ প্রয়োগের কারণে আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে।
১৯৯০ সালে ৬১ বছর বয়সী ইয়াসির আরাফাতের সাথে ২৭ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার আগে সুহা আরাফাত তিন বছর তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে বেড়ে ওঠা সুহা ওই সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনিরা বিভিন্ন সময়ই সুহা আরাফাতের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন বিরোধী ভূমিকার অভিযোগ করে আসছেন।