‘করোনা মহামারিতে যদি খাদ্যসংকট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে। অনেক ক্ষেত্রে খাবার পাওয়াই যাবে না। তাই আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় আজ এক মতবিনিময় সভায় চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে এ কথা বলেছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যা প্রতি বছর ২২-২৩ লাখ বাড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তায় এটাই মূল চ্যালেঞ্জ। অথচ নানান কারণে চাষের জমি কমছে। স্বল্প জমি থেকেই মানুষের খাদ্য এবং প্রাণি ও পোল্ট্রির ফিডের যোগান দিতে হবে। সেজন্য কৃষি বিভাগের সকলকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, কর্মকর্তাদের শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে থেকে গতানুগতিক কাজ করলে হবে না। বরং মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে যেতে হবে। দেশের কোন এলাকায় কী চাষ করা যাবে বা সম্ভাবনা আছে তা চিহ্নিত করে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। যাতে করে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।