spot_img

শীতকালে চোখের সমস্যার ১০ ঘরোয়া সমাধান

অবশ্যই পরুন

আমাদের শরীরের বহুল প্রচলিত একটি সমস্যা হলো চোখের শুষ্কতা। যেকোনো মৌসুমে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। শীতকালও এর ব্যতিক্রম নয়। শীতকালে চোখ শুষ্ক হওয়ার সাধারণ কারণ হলো বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা কমে যাওয়া। এছাড়া মৌসুমের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিছু কারণেও চোখ শুষ্ক হতে পারে, যেমন- স্মার্টফোনের ব্যবহারে চোখের পলক কম পড়ার কারণে চোখ শুকিয়ে যাওয়া।

শুষ্ক চোখের কিছু উপসর্গ হলো- চোখে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি, কিছু ফুটেছে/পড়েছে প্রকৃতির অনুভূতি, চোখের কোণে শুষ্ক শ্লেষ্মা, আলো সইতে না পারা, ঝাপসা দেখা, চোখ থেকে পানি পড়া ও চোখ লাল হওয়া। কিন্তু চোখের এই সরল সমস্যা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া উপায়ে অনুসরণে সমস্যাটির মাত্রা কমতে পারে। এখানে চোখের শুষ্কতা প্রতিকারে কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা দেয়া হলো।

* ঠান্ডা সেঁক: শুষ্ক চোখের জন্য একটি তৎক্ষণাৎ ঘরোয়া চিকিৎসা হলো, চোখের চারপাশে ঠান্ডা সেঁক দেয়া। এটা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, একটি পরিষ্কার কাপড়কে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের ওপর রেখে দেয়া। শুষ্ক চোখে ঠান্ডা সেঁক দেয়ার আরেকটি উপায় হলো, একটি ধাতব চামচকে এক গ্লাস বরফে শীতল করে ফোলা ও অস্বস্তি না কমা পর্যন্ত চোখের ওপর রাখা।

* ক্যাস্টর অয়েল: শুষ্ক চোখের অস্বস্তি কমাতে হোমমেড আই ড্রপস হিসেবে ব্যবহারের জন্য আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো ক্যাস্টর অয়েল। প্রত্যেক চোখে এক ফোঁটা করে ক্যাস্টর অয়েল দিতে পারেন। একাজে আই ড্রপসের খালি বোতল ব্যবহার করতে পারেন। চোখকে আর্দ্র করতে ও লালতা কমাতে প্রতিদিন কয়েকবার দিতে পারেন।

* লবণ পানি: শুষ্ক ও উক্ত্যক্ত চোখের একটি সহজ ঘরোয়া সমাধান হলো, পানি ও লবণের মিশ্রণ। লবণ পানির লবণ চোখের ময়লা দূর করে। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্টও রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। এক মগ ডিস্টিলড ওয়াটারে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে তাপ দিতে থাকুন। লবণ সম্পূর্ণ গলে গেলে তাপ দেয়া বন্ধ করে মিশ্রণটাকে ঠান্ডা হতে দিন। অতঃপর চোখ ধুয়ে ফেলুন।

* গোলাপজল: উক্ত্যক্ত চোখকে আরাম দিতে গোলাপজল বেশ কার্যকর। এটা চোখকে শীতল ও পরিষ্কার করে। দ্রুত চোখের অস্বস্তি কমাতে বিশুদ্ধ গোলাপজলকে আই ড্রপস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

* আলু: আলু হলো একটি ভালো অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং এটা প্রদাহ তথা ফোলা কমাতে কাজ করে। আলুকে কেটে পাতলা স্লাইস করে ফ্রিজে রেখে শীতল করুন। তারপর স্লাইসগুলোকে বন্ধ চোখের ওপর ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।

* শসা: শুষ্ক চোখের আরেকটি কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা হলো শসার ব্যবহার। এটা চোখের প্রদাহ, ফোলা ও অস্বস্তি কমায়। একটি শসাকে ভালোমত ধুয়ে পাতলা পাতলা স্লাইস করে বন্ধ চোখের ওপর ১০ মিনিট রেখে দিন। প্রতিদিন চার-পাঁচ বার এটা করতে পারেন।

* অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরাতে আর্দ্রকারী উপাদান রয়েছে বলে এটা চোখের শুষ্কতায় ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে খুবই ভালো কাজ করে। অল্প পানিতে অ্যালোভেরার নির্যাস মিশিয়ে এটাকে আই ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চোখে কেবল অ্যালোভেরার নির্যাস ব্যবহার করবেন না, অবশ্যই পানি মেশাতে হবে। অন্যথায় চোখে কতিপয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

* গ্রিন টি: গ্রিন টি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিলে প্রদাহ ও চুলকানি কমতে পারে। এক মগ পানি ফুটিয়ে এতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ দিয়ে চা তৈরি করুন। এটা ঠান্ডা হয়ে আসলে চোখ ধুয়ে নিন। এছাড়া ভেজা গ্রিন টি ব্যাগকে চোখের ওপর কিছু মিনিট রাখলেও আরাম পাবেন।

* মেথি: চোখের চুলকানি কমাতে মেথি ব্যবহার করতে পারেন। পানিতে মেথির বীজকে সারারাত ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চোখের ওপর মেখে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানিতে চোখ ধুয়ে নিন।

* হিউমিডিফাইয়ার: সাধারণত শুষ্ক বাতাসে চোখ শুকিয়ে যায়। কিন্তু একটি যন্ত্র ব্যবহার করে ঘরের বাতাসকে আর্দ্র রাখা যায়। ঘুমানোর সময় হিউমিডিফাইয়ার চালু করলে চোখের শুষ্কতা এড়ানো সম্ভব হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, শুষ্ক চোখের প্রতিকারে হিউমিডিফাইয়ার বেশ কার্যকর।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ