জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভানচি বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। পারস্য উপসাগরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদসংকুল সামরিক তৎপরতা এবং উস্কানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এ চিঠি দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
মার্কিন সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পারস্য উপসাগর এবং ওমান সাগরে যে উস্কানিমূলক তৎপরতা চালিয়েছে চিঠিতে তার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উন্নতমানের এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর পাশাপাশি আমেরিকা দীর্ঘপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান পাঠিয়ে নানামুখী উসকানিমূলক তৎপরতা চালিয়েছে। এই ধরনের কর্মকান্ড যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে চলে যাবে এবং আঞ্চলিক মারাত্মক উত্তেজনা সৃষ্টি হবে যার পরিণতি ও দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে আমেরিকাকে বহন করতে হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া চিঠিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ইরান তার জনগণ, নিরাপত্তা ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো ধরনের ঝুঁকি অথবা শক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব দিতে ইরান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “ইরান কারো সাথে যুদ্ধ চায় না তবে আমরা প্রকাশ্যে এবং সরাসরি আমাদের জনগণ, নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করব।”