নিজেকে বদলানোর সংকল্প; আত্মশুদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্ত

অবশ্যই পরুন

দুনিয়ার বুকে নবী-রাসূল প্রেরণের অন্যতম উদ্দেশ্য হল উম্মতের ইসলাহ তথা আত্মশুদ্ধি।
(সুরাতুল জুমুয়া আয়াত ২)
দুনিয়ার নানান সম্পর্কের ফেরে বান্দা যখন তার রবকে ভুলে যেতে বসে, নফস ও শায়তানের কুমন্ত্রনায় নানান ব্যাধি অন্তরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। তখন প্রয়োজন হয় এর প্রতিষেধকের। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার। মুলতঃ বান্দার অন্তরের পরিশুদ্ধকরণই হচ্ছে নবী-রাসূল প্রেরণের অন্যতম উদ্দেশ্য।

কেননা, ইসলাহের প্রথম ধাপই হলো মনে মনে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। মন-দিল তৈরী করা। দিল যদি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে যায়, তাহলে কোনো বাধাই বাধা নয় সাহাবা আজমাইনদের জীবনিই হচ্ছে তাঁর প্রমাণ।

মূলত নিজেকে বদলানোর সংকল্পই হচ্ছে আত্মশুদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্ত। আল্লাহ্ তা’আলা সবাইকে তাওফীক দান করুন। আমীন আমীন আমীন ইয়া রাববাল আলামিন।

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “মানবদেহে একটি বিশেষ অঙ্গ আছে, তা ঠিক হলে গোটা দেহ ঠিক থাকে আর তা যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন গোটা দেহ নষ্ট হয়ে যায়। তোমরা শুনে রাখ! তা হলো মানুষের কলব তথা হৃদয়।”

প্রশ্ন হল, কীভাবে আমি আমার কলবের পরিশুদ্ধতা অর্জন করতে পারি? এর ব্যাধির চিকিৎসাই বা কী? এর জবাব কুরআন ও হাদীসে যেসকল উপায়ের আলোচনা করা হয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম হল, সাদিকীন তথা আল্লাহ্ ওয়ালা নেককার সত্য বাদিদের সংশ্রবে থাকা। সর্বক্ষেত্রে শরীয়ত তথা কোরআন সুন্নাহ এর অনুসারী হওয়া গুনাহ বর্জন করা ইত্যাদি।

তবে এ ক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন হল নিজের ইসলাহের ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা। অন্তরে এ কথা বসানো যে, ‘আমি রোগাক্রান্ত (রূহানী রোগে)। আমার চিকিৎসা জরুরী।’ অতএব, দিল যদি তৈরী হয়, দুনিয়ার কোন সমস্যাই বান্দার অন্তরায় হতে পারে না। যখন আল্লাহর বান্দা আল্লাহকে পাওয়ার জন্য নিজের অন্তরকে তৈরী করে ফেলে, আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন সেই বান্দার জন্য সকল বাধাকে দূর করে দেন। এ জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করা চাই। ইসলাম এর বিধি বিধান মানার জন্য অন্তরের ভেতর যে যোগ্যতা দরকার, আল্লাহ্ তা’আলা ওই যোগ্যতা যেন আমাদেরকে দান করেন। আমীন আমীন আমীন ইয়া রাববাল আলামিন

বান্দা যখন নিজের অন্তরের ইসলাহ চায় তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে নুসরত-সাহায্য আসে,
وَالَّذِينَ جاهَدُوا فِينا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
অনুবাদ:- “যারা আমাকে পাওয়ার জন্য মেহনত-মুজাহাদা করে, (আমাকে পাওয়ার) পথ সমূহ আমি তাদের জন্য খুলে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলা নেককারদের সাথে আছেন।” [সূরা আনকাবূত: ৬৯]

وَمَنْ يَتَّقِاللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجاً
অর্থ:- “যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার উত্তোরণের পথ বের করে দেন।” [সূরা তালাক:২]
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে কোরআন ও হাদিস থেকে প্রকৃত শিক্ষা নেয়ার তাওফীক দান করুন এবং তাকওয়া পরহেযগার হওয়ার তাওফীক দান করুন আমীন আমীন আমীন ইয়া রাববাল আলামিন।

সর্বশেষ সংবাদ

ফজরের সুন্নত ছুটে গেলে যা করবেন

সালাত বা নামাজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়। এটি অন্যতম ফরজ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা এসেছে।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ