এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুই সমালোচিত দলের লড়াই। চট্টগ্রাম রয়্যালস, যাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে সরে দাঁড়ায় স্পন্সর ম্যানেজ করতে না পারায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যাবতীয় দায়িত্ব তুলে নেয় দলটির। সেটাই যেন শাপেবর হলো শরীফুল ইসলাম-শেখ মাহেদীদের জন্য।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নবাগত নোয়াখালী রয়্যালসকে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১০৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম। ৬৫ রানের জয়ে শুরু করল টুর্নামেন্ট।
অবশ্য এই ম্যাচে নামার আগে মনে হয়নি চট্টগ্রাম দল এভাবে পারফর্ম করতে পারবে। তাদের জার্সিতে নেই কোনো স্পন্সর। খেলার কথা থাকলেও নানান কারণে বিদেশি ক্রিকেটাররা শেষ মুহূর্তে নিজেদের নাম তুলে নিয়েছেন। ছিলেন না সরাসরি চুক্তিতে দলে আসা সৌম্য সরকারও। স্কোয়াডের দুই বিদেশি ছিলেন মির্জা বেগ ও মাসুদ গুরবাজ।
তবে সীমিত বিদেশি আর লোকাল ট্যালেন্টদের ঝলকে ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ।রান তাড়ায় নেমে হাবিবুর রহমান সোহানের দুই ছক্কা ও এক চারে খেলা ৭ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভালো শুরু পায় নোয়াখালী। তবে শরীফুলের দারুণ এক বলে গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এরপর মাহেদী-তানভীরদের স্পিন জাদুতে ইনিংস বড় করতে পারেননি সাব্বির হোসেন, সৈকত আলী, জাকের আলীদের কেউই। ছয়ে নেমে হায়দার আলী ২ চার ও ২ ছক্কায় লড়াইয়ের আভাস দিলেও তানভীরের তৃতীয় শিকার হওয়াতে শেষের লড়াইটাও জিতে নেয় চট্টগ্রাম। ৪ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তানভীর।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানে নাঈম শেখের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। যদিও এরপর একা হাতে দলকে টেনেছেন পাকিস্তানি ওপেনার মির্জা বেগ। ইনিংসের শেষ বলে হাসান মাহমুদের কাছে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলেছেন ৮০ রানের ইনিংস।। ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছক্কা। মির্জার ইনিংসের সাথে অধিনায়ক মাহেদীর ৩ চার ও এক ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওটাও কাজে এসেছে চট্টগ্রামের। এক ওভার দুই উইকেট নেন সাব্বির হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান রানা, জহির খান ও মাজ সাদাকাত।

