একটি নতুন জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ ইসরায়েলি তাদের দেশের গণতন্ত্রের অবস্থার বিষয়ে অসন্তুষ্ট। ইসরায়েল ডেমোক্র্যাসি ইনস্টিটিউট (ডিআইডি)-এর জরিপ অনুযায়ী, জনগণ বলছে, তারা রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারে না, কারণ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনবিশ্বাস খুবই কম।
জুলাই ও নভেম্বর মাসে পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে আইডিআই জানিয়েছে, প্রায় এক-চতুর্থাংশ ইহুদি ইসরায়েলি জাতির গণতন্ত্রকে “ভাল” বা “চমৎকার” হিসেবে বিবেচনা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধীরে ধীরে নিচে নামা প্রবণতাকে আরও দৃঢ় করছে। আরব ইসরায়েলিদের মধ্যে গণতন্ত্রের অবস্থার ইতিবাচক মূল্যায়ন কেবল মাত্র ১২ শতাংশ— যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ সরকারি সংস্থার প্রতি মাত্র ১০ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ মানুষই বিশ্বাস রাখে। ইহুদি প্রতিক্রিয়াকারীদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম হলো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী, যেটির প্রতি ৮১ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে মাত্র এক-চতুর্থাংশ ইহুদি এবং মাত্র ১৭ শতাংশ আরব ইসরায়েলি বিশ্বাস করেন। নেতানিয়াহু নিজেও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। দেশের দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে তিনটি দুর্নীতি মামলায় বিচারাধীন, যেখানে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অক্টোবর মাসে তিনি আরও একবার মন্ত্রিসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
সব প্রতিক্রিয়াকারীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৫ শতাংশ জানিয়েছেন, “সমস্যার সময়ে” তারা রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারেন। অন্যদিকে, ইহুদি ইসরায়েলিদের ৬৭.৫ শতাংশ এবং আরব ইসরায়েলিদের ৭৬ শতাংশ বলেছেন, এমন কোনো রাজনৈতিক দল নেই যা তাদের মতামতকে ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ফিলিস্তিনের সামরিক গোষ্ঠী হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলের ওপর অপ্রত্যাশিত হামলা চালানোর পর গাজা সংঘাতের কারণে পশ্চিম জেরুজালেমের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জবাবে ইসরায়েল পরবর্তী দুই বছরে গাজায় ভারী বোমা বর্ষণ এবং স্থল অভিযান চালায়, যার ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন।
সূত্র: আরটি

