ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার দিন হাদিকে বহনকারী অটোরিকশার চালক মো. কামাল উদ্দিন (৪৬)। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, শহিদ শরিফ ওসমান হাদি মো. কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করে মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার বক্তব্য আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬৪ ধারামতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সালসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে ১৪ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে র্যাব। তবে ফয়সাল করিমের কোনও খোঁজ এখনও পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

