spot_img

সালাহ ম্যাজিকে জিম্বাবুয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল মিসর

অবশ্যই পরুন

আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে ‘বি’ গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে বড় অঘটনের হাত থেকে মিসরকে রক্ষা করলেন মোহাম্মদ সালাহ। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১২৯ নম্বরে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে শেষ মুহূর্তের গোলে ২–১ ব্যবধানে নাটকীয় জয় তুলে নেয় মিসর। তথ্য মুন্দো দেপোর্তিভোর। 

লিভারপুল তারকা ও দলের নেতা সালাহ যোগ করা সময়ের ৯১তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন। ম্যাচে হোসাম হাসানের শিষ্যরা মোট ৩৫টি শট নেয়, যার ১১টি ছিল লক্ষ্যে, তবে জিম্বাবুয়ের শক্ত রক্ষণভাগের সামনে পড়তে হয় বড় চ্যালেঞ্জে।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে মিসর। চতুর্থ মিনিটেই ট্রেজেগেটের দুর্দান্ত দৌড়ের পর গোলের সুযোগ পান আশুর। তিন মিনিট পর সালাহর নিখুঁত ক্রস থেকে ট্রেজেগেট আবারও সুযোগ নষ্ট করেন। জিম্বাবুয়ের ৪০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ওয়াশিংটন আরুবি শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বাঁচান।

পুরো প্রথমার্ধজুড়েই মিসর টানা আক্রমণ শাণায়। সালাহ ও আশুর একাধিকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছান। রোমানিয়ান কোচ মারিও মারিনিকার জিম্বাবুয়ে শুরুতে পুরোপুরি চাপে থাকলেও ১৫ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিজেদের সামলে নিতে থাকে।

২০তম মিনিটে আসে বড় চমক। তানজানিয়ার ইয়াং আফ্রিকান্স ক্লাবের ফরোয়ার্ড প্রিন্স দুবে বক্সের ভেতরে দুর্দান্ত টার্ন নিয়ে জোরালো শটে গোল করে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেন। গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল-শেনাওয়ির কিছুই করার ছিল না। জাতীয় দলের হয়ে এটি ছিল ১৩ ম্যাচে দুবের অষ্টম গোল।

২৫তম মিনিটে জিম্বাবুয়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ পায়। মসেন্দামি ও নাভায়ার পরপর দুই প্রচেষ্টা মিসর শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক ঘণ্টা খেলার আগেই মিডফিল্ডার আশুরকে তুলে নিয়ে স্ট্রাইকার মোস্তাফা মোহাম্মদকে নামান কোচ হোসাম হাসান।

৩৮তম মিনিটে ওমর মারমুশের শক্তিশালী ডান পায়ের শট আরুবি অসাধারণভাবে প্রতিহত করেন। গ্যালারিতে তখন সমতাসূচক গোলের উদযাপনের প্রস্তুতি চলছিল। তবে প্রথমার্ধে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের শারীরিক শক্তির সামনে মিসরের একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হয়।

বিরতির পর আবারও দলের হাল ধরেন সালাহ। লিভারপুল তারকা একের পর এক বল পাস করতে থাকেন সমতাসূচক গোলের খোঁজে। তবে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৫৫তম মিনিটে মারমুশের আরেকটি ভালো সুযোগ রুখে দেন আরুবি। কিছুক্ষণ পর জিম্বাবুয়েও পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে।

শেষ পর্যন্ত ক্লান্তি ভর করে জিম্বাবুয়ে শিবিরে। ৬৪তম মিনিটে ডান পায়ের জোরালো শটে মারমুশ সমতা ফেরান। এরপর ম্যাচে বল ক্লিয়ার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। রক্ষণে জোর দেয় তারা। তবে হার মানতে হয় ইনজুরি সময়ে। ডাইভিং হেডে জাল কাঁপিয়ে জিম্বাবুয়ের সব প্রতিরোধ ভেঙে দেন সালাহ। প্রবল লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের; কঠিন পরীক্ষার পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মিসর।

সর্বশেষ সংবাদ

এক ওভারে ৫ উইকেট: টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য কীর্তি প্রিয়ান্দানার

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে ১ ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার গেদে প্রিয়ান্দানা। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে এই...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ