spot_img

বিপদ-আপদে ধৈর্য ধরলে আছে যে পুরস্কার

অবশ্যই পরুন

বিপদ-আপদ কখন আসবে তা কেউ জানে না। তবে সেই মুহূর্তে ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি মহান রবের নিকট সাহায্য চাওয়া প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। আর ধৈর্য ধারণের ক্ষেত্রে বিপদের প্রথম মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ধৈর্য ধারণকারীরাই সফলকাম হতে পারেন।

আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রকৃত ধৈর্য ধারণ করা হলো বিপদ-আপদের প্রথম মুহূর্তে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২০১১)

অন্যদিকে ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকার ওয়াদা স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালার। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩)

আবার ধৈর্য ধারণের চেয়ে উত্তম নেয়ামত কাউকে দেয়া হয়নি। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, একবার কিছুসংখ্যক আনসারী সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে কিছু চাইলে তিনি তাদের দিলেন। পুনরায় তারা চাইলে রাসুল (সা.) তাদের আবারও দিলেন। এমনকি তার (রাসুল সা.) কাছে যা ছিল সবই শেষ হয়ে গেল। এরপর তিনি নবীজি (সা.) বললেন, আমার নিকট যে মাল (সম্পদ) থাকে তা তোমাদের না দিয়ে আমার কাছে জমা রাখি না। তবে যে যাঞ্চা (প্রার্থনা, যাচনা) থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখেন। আর যে পরমুখাপেক্ষী না হয়, আল্লাহ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তাকে সবর দান করেন। সবরের চাইতে উত্তম ও ব্যাপক কোনো নিয়ামত কাউকে দেয়া হয়নি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৩৮৪)

মনে রাখতে হবে, বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করলে গুনাহও মাফ হয়। আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তির ওপর যেসব যাতনা, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আপতিত হয়, এমনকি যে কাটা তার দেহে বিদ্ধ হয়- এসবের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫২৩৯)

আবার মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ধৈর্য ধারণ করলে পরকালে জান্নাতের সুসংবাদও দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা তাদের রবের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সবর করে, সালাত (নামাজ) কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক প্রদান করেছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং ভালো কাজের মাধ্যমে মন্দকে দূর করে, তাদের জন্যই রয়েছে আখিরাতের শুভ পরিণাম। স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যাতে তারা এবং তাদের পিতৃপুরুষগণ, তাদের স্ত্রীগণ ও তাদের সন্তানদের মধ্যে যারা সৎ ছিল তারা প্রবেশ করবে। আর ফেরেশতারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে। তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, কারণ তোমরা ধৈর্য ধারণ করেছিলে। কতই না উত্তম পরকালের এই ঘর!’ (সুরা আর-রাদ, আয়াত ২২-২৪)

সর্বশেষ সংবাদ

সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে পুলিশের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর করার মতো পূর্ণ সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ